নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতামূলক সভা করছেন ডিমলা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ই আগস্ট) দুপুর ২টায় ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নে গয়াখরিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ রোধে শপথ করেছেন সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। সচেতনতামুলক শপথ পাঠদান করান ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়।
ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বলেন, মাদক, বাল্যবিয়ে, পালিয়ে বিয়ে করা, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং ইত্যাদি চলমান সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তোমাদের সঙ্গে আজ কথা বলতে এসেছি। দিন দিন এসব সমস্যা সমাজে প্রকট আকার ধারণ করছে। সবাইকে বলছি, সবার আগে নিজের এবং পরিবারের ভালো বুঝতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সমস্যা হলে পরিবারের অভিভাবক অথবা শিক্ষককে জানাতে হবে। প্রয়োজনে সরকারী ৯৯৯ নাইন ও ডিমলা থানা পুলিশকে জানালে তৎক্ষণাৎ পুলিশি সেবা আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।
বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের জন্য থানায় আলাদা ডেস্ক খুলেছেন। সেখানে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে আগত সেবা প্রার্থীকে সেবা প্রদান করা হয়। বাল্যবিবাহ রোধে ১৮ বছরের পূর্বে নিজেরা (শিক্ষার্থী) বিবাহ করব না বলে শপথ করেন। ওসি (তদন্ত) আরো বলেন, সবাই আমার সঙ্গে শপথ করো, কখনো প্রেম করে পালিয়ে যাবে না, পরিবারকে কষ্ট দেবে না। ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের পলায়ন সমাজে ব্যাধি হিসেবে জেনো রূপান্তরিত না হয়, এ কারণেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। সভা শেষে ওসি (তদন্ত) গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আইনে বাল্যবিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে এটি প্রতিহত করতে হবে।
বাল্যবিবাহ একটি মেয়ের বড় হওয়ার পথে সব থেকে বড় বাধা। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়সে প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে হবে, লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরই মেয়েদের বিয়ে করা উচিত। তাই এমন সচেতনতামুলক ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয়ে এ ধরনের শপথের আয়োজন করা হবে। এ সভায় গয়াখরিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও ডিমলা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।