নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইব্রাহিম (গরিব ইব্রাহিম) বিরুদ্ধে রাতের আধারে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ০৫ ই আগষ্ট শনিবার ইসমাইল মোল্লা এ অভিযোগ করেন।ইসমাইল মোল্লার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাব মৌজার সিএস, এসএ ও আরএস-৩১ ও ৩২ দাগের জরিপ মূলে দাদা, বাবা এবং সন্তানদের আমল থেকে ৮১ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছে।
স্থানীয় দাউদপুর ইউনিয়নের মৃত তমিজুদ্দিনের ছেলে সাবেক মেম্বার মোঃ ইব্রাহিম (গরীব ইব্রাহিম) (৪৫), মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে একেএম গুলজার হোসেন(৬৫), মোঃ হেকমত আলী(৩৫) পিতা- আব্দুল সিদ্দিক, জুয়েল(৩৪), পিতা- ইকবাল(আবু তালেব), মোঃ খলিল মিয়া(৩০), পিতা- মৃত আকবর আলী, সর্ব সাং বীর হাটাব। অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জন সাথে নিয়ে রাতের আধারে আমার পৌত্রিক সম্পত্তিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করে দখলের চেষ্টা চালায়। শুধু তাই নয় একদল সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে শান্তিপূর্নভাবে উক্ত জমিতে বসবাস করতে দেয়া হবে না। দাউদপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আয়নাল হোসেন এর কাছ থেকে ভূয়া তথ্য সম্বলিত ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করে ভূয়া দলিল তৈরী করে সে এসব অপকর্ম শুরু করেছে। উক্ত নালিশা ভূমিতে দেওয়নী মামলা চলমান।
কিন্তু বিবাদী মোঃ ইব্রাহিম এ ব্যপারে কোন কর্নপাতই করে না। আদালত থেকে পর পর তিনবার তার কাছে নোটিশ আসলেও সে কোন জবাব না দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চালাচ্ছে জুলুমের রাজত্ব। দীর্ঘ দিন যাবৎ উক্ত বিবাদী ইসমাইল ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে। যার ফলশ্রুতিতে ২৯/১২/২০২১ ইং তারিখে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। সাধারণ ডায়েরী নং ১৪৭৩। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসমাইল মোল্লার পশ্চিম পাশের জমির মালিক মোঃ মাইনূল বলেন, আমি পবিত্র হজ¦ পালন করতে সৌদি আরব গেলে ইব্রাহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার নির্মান করা বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা চালায়। আমার কাছে আমার পরিবারের লোকেরা ফোনে জানালে আমি স্থানীয় প্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানালে তারা এসে আমার বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙ্গা থেকে রক্ষা করে।
সে মানুষের কাছে বলে বেড়ায় যে সে এই জমি ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিনেছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা তার জমির বৈধ কাগজ নিয়ে তিন চারবার তারিখ করলেও সে হাজির থাকেনা। আমার বাউন্ডারী ওয়াল ভাংতে না পেরে ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ইব্রাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বীর হাটাবো গ্রামের মুদি দোকানী বলেন, ইব্রাহিম ও তার কিছু মাদকসেবী সাঙ্গপাঙ্গদের কাজই এগুলো। তার একটি মাদকসেবী বাহিনী আছে। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য তাদের কাজই হচ্ছে মানুষকে হুমকী, ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের জমি দখলসহ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। উল্লেখিত ওয়ারিশ সনদের সত্যতা যাচায়ের জন্য মুঠোফোনে কথা হয় দাউদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আয়নাল হোসেনের সাথে তিনি বলেন, ইব্রাহিম আমাকে ভূল তথ্য দিয়ে আমার কাছ থেকে ওয়ারিশ সনদ গ্রহন করে ।
পরে যখন জানতে পারি তার দেয়া তথ্যে ভূল আছে সাথে সাথে ডেকে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা বাতিল করে দেই। জমির অবৈধ দখলের ব্যপারে মোঃ ইব্রাহিমকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। আমার কিনা জমিতে আমি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করেছি। এ ব্যপারে ভোলাব পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিবাদীকে মঠো ফোনে বলে দেয়া হয়েছে মামলা নিস্পত্তি না হলে উক্ত জমিতে কোন রকম কার্যক্রম করা যাবে না। এর পরও যদি সে কোন রকম কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে