চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর থানা কর্তৃক তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আটককৃত আসামী ছেড়ে দিতে সহযোগিতা করা বা ভূমিকা রাখার অভিযোগে বাদী পক্ষ কর্তৃক মানববন্ধনত্তোর সংবাদ সম্মেলন করেছে বলে জানা গেছে। আজ ২৬ জানুয়ারী বুধবার বিকাল ৪টায় বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসনের সামনে ভূক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনত্তোর সংবাদ সম্মেলন করেন।
অভিযোগে জানা যায় ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পশ্চিম গোমদন্ডীর ৯নং ওয়ার্ডের গোয়াজ তালুকদার বাড়ীর আবু জাফরের মেয়ে মেহেরুনেছাকে তার শ্বশুর বাড়ী একই উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সুজতআলী মুন্সির বাড়ীর জেবল হোসেনের পুত্র মোঃ ইদু মিয়া (৩২) বসত ঘরের ভিতরে হত্যা কান্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ০৬জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযান অব্যাহত থাকলেও গতকাল ২৫ জানুয়ারি বেলা ১টার দিকে বাদী পক্ষ হঠাৎ মামলার ৩নং আসামী পারভীন আক্তার কে অবাধ ঘুরাফেরা করতে দেখে তা পুলিশকে জানান, পুলিশ আসছে আসছে এভাবে বলতে থাকলে এক পর্যায়ে আসামী পালিয়ে যেতে চাইলে বাদী পক্ষ পুলিশের পরামর্শে ঐ আসামীকে ঘেরা ও আটক করে থানায় মামলার তদন্তকারী অফিসার হিমেল চাকমার নিকট নিয়ে গেলে তিনি আসামী অসুস্থ বলে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। ভর্তি থাকা অবস্থায় হিমেল চাকমার উপস্থিতিতে আসামী উধাও হয়ে যায়।এদিকে একটি হত্যা মামলার আসামী পুলিশের পরামর্শে বাদী কর্তৃক আটক আসামী উধাও বা পালিয়ে যাওয়ায় বাদী পক্ষ ফুঁসে উঠতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে আজ বুধবার ২৬ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় দিকে থানা পুলিশ কর্তৃক আটককৃত হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দিতে সহযোগিতা ও ভূমিকা রাখার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের সামনে ভূক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধনত্তোর সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে উল্লেখিত অভিযোগ গুলো তুলে বক্তব্য রাখেন নিহতের পিতা মোঃ আবু জাফর, মাতা আনোয়ারা বেগম, ছোট ভাই আবু তাহের, ছোট বোন তানজিনা আক্তার।বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.আলী আজগর সাংবাদিকদের জানান- ২৬ জানুয়ারী দুপুর ১টা ৩০মিঃ দিকে এ রোগীকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিমেল চাকমা সাংবাদিকদের বলেন আপনারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট এ বিষয়ে জেনে নিন।