জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার দাসের বিরুদ্ধে সারাদেশের প্রতিবন্ধী সদস্যদের নিকট থেকে বিভিন্ন অনুদানের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে সুশান্ত কুমার দাস ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের স্বর্গীয় ধীরেন দাসের পুত্র। সুশান্ত কুমার দাস জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রতিবন্ধী সদস্যদেরকে সরকারী ও আমেরিকার বিভিন্ন অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ী গ্রামের প্রতিবন্ধী মো. সরোয়ার (পাচু) বলেন, তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি সুশান্ত কুমার দাস বলেছিলেন আমেরিকা থেকে প্রতিবন্ধীদের নামে বিভিন্ন অংকে টাকা ও গরু ছাগল দিবে, সেজন্য তাদের একটি ফরম পূরণ করে ৩০০ টাকা দিতে হবে। এবং ৪৪ জন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে তিন’শ করে টাকা নিয়েছে। গত পাঁচ মাস আগে টাকা নিলেও এখনও কোন প্রকার ত্রাণ পাননি প্রতিবন্ধীগণ।
অগ্রগামী প্রতিবন্ধী সংগঠনের আকরাম চোকদার বলেন আমি আমার সংগঠনের ১৭ জনের টাকা সভাপতির নিকট জমা দেই। আমাদেরকে আমেরিকার থেকে আসা সাহায্য সহযোগিতা ( অনুদান) দেওয়ার কথা বলে জন প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়েছে। যাহা সারাদেশের সদস্যদের নিকট থেকে এভাবেই শত শত প্রতিবন্ধীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে সভাপতি সুশান্ত কুমার দাস। তাকে এখন ফোন দিলেও ফোন ধরেনা।
এরকম আরো ভুক্তভোগীর কয়েকজন হলেন, যোগীবরাট গ্রামের হাফিজার মোল্যার ছেলে প্রতিবন্ধী জাহিদুল মোল্যা, বানা ইউনিয়নের টোনার চর গ্রামের বাবু মিয়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে তহমিনা আক্তার, ভাটপাড়া গ্রামের আবুল কালাম, বিপ্লবী প্রতিবন্ধী সংগঠনের ইলিয়াছ ফকির, আশার বাণী প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি মজিবর রহমান, সদস্য আক্কাছ হোসেন, সোনালী প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি সেলিম হোসেন, আব্দুল হালিম সরদারসহ শতশত ভুক্তভোগী রয়েছে সারাদেশে।
এ প্রসংগে জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন সভাপতি সুশান্ত কুমার দাসের বিরুদ্ধে এরকম অনিয়মের কোন কথা আমি শুনিনাই। তবে এরকম কিছু অনিয়ম করেছে সদস্য পলাশ। এই ধরনের কোন অনিয়ম কেউ করলে তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ প্রসঙ্গে সুশান্ত কুমার দাস বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তাহা সম্পুর্ন মিথ্যা। বরং জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরদার ওরফে হাসান কে অনিয়ম করার দায়ে কমিটি হতে বাদ দেওয়া হয়েছে।