ফরেনার্স আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার (কলঅফ) করায় আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলহাজতে আটক ২৫ বাংলাদেশিকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন ধুবড়ির সংশ্লিষ্ট আদালত।শনিবার (২৯ আগস্ট) ধুবড়ি আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার ভিকটিম রেসকিউ কমিটির আহ্বায়ক এসএম আব্রাহাম লিংকন।তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গৌহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার তানভীর মনসুর
এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী ও আসাম টিউবিনের সম্পাদক রাজর্ষী দাসগুপ্ত আদালতের আদেশের বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করেছেন।মুক্তির আদেশপ্রাপ্ত ২৫ বাংলাদেশির সবাই কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের অধিবাসী।এসএম আব্রাহাম লিংকন আরও জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ভারত সরকারের প্রসিকিউশন মামলাটি কলঅফ করার সম্মতি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সকল পক্ষের আইনজীবীদের শুনানির পর ধুবড়ি আদালতের বিচারক জেলহাজতে আটক ২৫ জন বাংলাদেশিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি এবং মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন।
এর মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার হলো। এখন অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, বৈধ পাসপোর্ট ও তিন মাস মেয়াদের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে চিলমারীর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের ২৬ জন অধিবাসী চলতি বছরের প্রথম দিকে আসাম রাজ্যের জোরহাট এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যান। এরপর করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সেখানে আটকা পড়েন তারা।এ অবস্থায় ভারতের দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন ৩ মে কিছু সময়ের জন্য চেকপোস্ট খুলে দেওয়া হবে এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়ি ফেরার জন্য জোরহাট থেকে চেংরাবান্ধার উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
কিন্তু পথেমধ্যে ধুবড়ি জেলার চাপোর থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ফরেনার্স আইনে মামলা দিয়ে তাদের ধুবড়ি জেল হাজতে পাঠানো হয়।এদেরমধ্যে ওই জেলহাজতে বকুল মিয়া নামের এক জনের মৃত্যু ঘটেছে। অবশিষ্ট ২৫ জন এখনও সেখানে আছেন।