সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উকারগাঁও গ্রামের মনির হোসেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন নিহতের মা মোছাঃ বকুল বেগম ।
তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর ৩ ছেলেকে নিয়ে শান্তিপুর্নভাবে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। আমার বড় ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ জনিক আক্তার ও উকারগাঁও গ্রামের রাজন আহমদের পরিকিয়ার সম্পর্কের যের ধরেই মনির হোসেনকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
গত ১১/১/ ২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭ টায় রাজন আহমদ ও জনিক আক্তারের পরিকল্পনা মতে মনির হোসেনকে বসতঘর হতে বাহির হওয়ার জন্য ডাকাডাকি করে জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজন ও রাসেল। ডাকাডাকির কারন জানতে চাইলে বন্ধকী জমির বিষয় নিস্পত্তির কথা বলে। এ সময় আমার ছেলে মনির হোসেনের স্ত্রী যেতে সম্মতি দেয়।
পরবর্তীতে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ফিরে না আসায় মনির হোসেনকে খোঁজাখুজি করে ১২/১/২০২৫ ইং তারিখে সকাল ৮ টায় উকারগাও গ্রামের পশ্চিম দক্ষিনের পাশের্^ জনৈক তাহির আলীর জমিতে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তার মৃত লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে।
এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন উকারগাঁও গ্রামের ০১, জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ, ০২ জামাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া, ৩ জাহির আলীর ছেলে সহিবুর রহমান, ৪ আব্দুন নুর এর ছেলে আলী আহমদ ৫, মৃত রহমত আলীর ছেলে মোঃ তাহের আলী ৬, আব্দুল খালিকের মেয়ে মোছাঃ জনিক আক্তার। আসামীদের মাঝে ৪ জন গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি আব্দুন নুরের ছেলে আলী আহমদ ও মৃত রহমত আলীর ছেলে মোঃ তাহির আলী।
এছাড়াও গংদের মাঝে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একই গ্রামের কামাল উদ্দিন. জসিম উদ্দিন, আলী আকবর, জহিরুল ইসলাম, সুলেমান এদের গ্রেফতারের কথা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জ থানার এস আই সুলেমানকে জানালে তিনি রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আরো বলেন, আসামী গ্রেফতারের কথা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুলেমানকে বললে উল্টো আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মনির হোসেন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান, হুসিয়ার আলী, জেবেদ আলী, মিয়া হুসেন, মস্তফা, জমাদার, জমির, ফয়জুর রহমান, সাবাজ, আবু ছালেহ, নুরুল মেম্বার, মনির, মজবিল, ইমন মিয়া, আব্দুন নুর, রজব আলী, ছুরতজ্জামান বকুল প্রমুখ।
অপরাধীর খোজে প্রতিদিন, যেকোন খবর প্রকাশের জন্য মেইল করুন- wsbnews24@gmail.com
Copyright © 2025 wsbnews24.com. All rights reserved.